নামাযে যদি নবী (সাঃ) ডাকে সাড়া দিলে নামাযের ক্ষতি হবে না
▬▬▬▬▬▬ না পড়লে অজানা থেকে ▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
ණ: তিরমিযী ও নাসায়ী (রঃ) হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন রাসূলে কারীম (সাঃ) উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ)-কে ডেকে পাঠালেন। তখন উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ) নামাজ পড়ছিলেন। তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ করে হুজুর (সাঃ)-এর খেদমতে গিয়ে হাজির হলেন। হুজুর (সাঃ) বললেন, আমার ডাক সত্বেও আস্তে দেরি করলে কেন ? হযরত উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ) নিবেদন করলেন, আমি নামাজ পড়ছিলাম ছিলাম। হুজুর (সাঃ) বললেন,তুমি কি কোরআন জানো না ? [আরবী উচ্চারনঃ-“ইয়া আইয়ুহা ল্লাযীনা আ-মানুস তাজীবূ লিল্লা-হি অলিররসূলি ইজা-দা’আ-কুম”…অর্থঃ- “…আল্লাহ ও রাসূল যখন ডাকে তার ডাকে সাড়া দাও।”(সূরাঃ- আল আনফাল, আয়াতঃ- ২৪)।] উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ) নিবেদন করলেন , আগামীতে এরই অনুসরণ করবো, নামাজের অবস্থায়ও যদি আপনি ডাকেন, সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়ে যাবো ।
❑ কোরআনের তফসীরঃ==> রাসূল (সাঃ) যখন কাউকে ডাকেন, তখন সে নামজে থাকলেও তা ছেড়ে যেন রাসূলের হুকুম পালন করেন। রাসূল (সাঃ)-এর হুকুম পালন করতে গিয়ে নামাজে মধ্যে যে কোনো কাজই করা হোক, তাতে ব্যাঘাত ঘটে না। (তফসীরে জালালাইনঃ- ২ খণ্ড, পৃষ্ঠাঃ- ৫৬০, সূরাঃ- আল আনফাল, আয়াতঃ- ২৪/ সহীহ বুখারী শরীফঃ-৪২৯১, খণ্ডঃ-৭)
❑ (টীকাঃ- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত আকিদা হল নবী (সাঃ) নামাজে ডাকেন নামজ ছেড়ে রাসূলের সাথে কথা বলুন, কথা শেষে পুনরায় নামাজে সামিল হয়ে যান নতুন করে নিয়ত করতে হবে না। আল্লাহ সরাসরি কাউকে ডাকলে সে রাসূল হয়ে যায়। আর আল্লাহ সরাসরি সাধারন কাউকে ডাকবেন না ডাকলে রাসূল ডাকবেন আর রাসূলের ডাক হবে আল্লাহ্র ডাক। )
<=====সুবহানাল্লাহ!